বাবার অনুপস্থিতিতে সৎ মাকে ধর্ষণ করে ফেলে যায় সন্তান। পুলিশ আসাতে মায়ের মনে আশা জাগে, হয়ত পুলিশ তাকে সাহায্য করবে। কিন্তু আশার জায়গায় হতাশার ছাপ।
পুলিশ এসে অসহায় ওই নারীকে একরাত থানায় আটক করে রাখে। পরে ২ হাজার ইয়াবা পাওয়া গেছে- এমন মামলা দিয়ে কোর্টে চালান দেয় ঐ নারীকে। এ ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রাম হালিশহর এলাকায়।
গোয়েন্দা পুলিশ ও পিবিআই’র তদন্তে এমন তথ্য বেড়িয়ে এসেছে। তবে এখনো অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। জীবন বাঁচাতে অসহায় নারী ও তার স্বামী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী বলেন, যারা আমার ওপর এতো অত্যাচার ও অবিচার করেছে, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যাতে তারা আর কোনো মা বোনের সম্মান হানি করতে না পারে।
গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অপরাধীরা হলেন স্বামীর প্রথম পক্ষের সন্তান। সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান, এসআই সিরাজ মিয়া ও এএসআইসহ অন্তত ১২ জনের সংশ্লিষ্টতা পায়। কিন্তু তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট জিঢা হাবিব আহসান বলেন, যেহেতু এখানে দুটি পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ এজেন্সি রিপোর্ট করে, পুলিশের অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে। তাদের প্রথম কাজ হলো, অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুরোপুরি প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যদি কোনো পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে অবহেলা বা গাফলতির প্রমাণ পাওয়া যায়, আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।